গাইবান্ধায় আড়াইশতম প্রদর্শনী পার করলো নাটক লাল জমিন
আবু জাফর সাবু: গাইবান্ধা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চস্থ হয় ঢাকার শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার পরিবেশিত দেশের খ্যাতিমান নাট্যশিল্পী মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনীত নাটক লালজমিন এর ২৫১তম পরিবেশনা।
গাইবান্ধা থিয়েটার লালজমিন এই নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে। উল্লেখ্য, সারা দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় এই নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে নারীর সংগামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ এই লালজমিন নাটকটি। একটানা একাত্তর মিনিটের এই একক নাটকে চৌদ্দ বছরের কিশোরীর ধবধবে সাদা জমিন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসের রক্তে রাঙা হয়ে ওঠার কাহিনী বর্নীত হয়। শক্তিশালী বক্তব্য ভিত্তিক এই নাটক রচনা করেছেন মান্নান হীরা এবং নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী।
মোমেনা চৌধুরীর প্রানবন্ত এই পরিবেশনাটি পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন গাইবান্ধা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপস্থিত হল ভর্তি নাট্যামোদী সর্বস্তরের দর্শক ।
শেষে নাটকটি সম্পর্কে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন ও নাট্য শিল্পী মোমেনা চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার কার্যকরী সভাপতি আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফারুক শীয়র চিনু, কবি সরোজ দেব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও গাইবান্ধা থিয়েটারের সভাপতি আলমগীর কবির বাদল, গাইবান্ধা থিয়েটারের সেক্রেটারী আরিফুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
এছাড়া নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, সুরবানী সংসদ, অন্তরঙ্গ থিয়েটার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সহ গাইবান্ধার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত ভাবেও মোমেনা চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং জেলা প্রশাসক তাকে ক্রেষ্ট উপহার দেন।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন তার বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লালজমিন নাটকটি পরিবেশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য নাটকের নেপথ্যে কুশীলব যারা ছিলেন-সংগীতে: রমিজ রাজু, নাভেরা রহমান, তানভীর সানি, বারি সিদ্দিকী, রমিজ রাজু, নীলা সাহা, আলোক প্রক্ষেপণ: সুব্রত, মামুন সাজিদ, আতিক, জয়, সাকিব এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায়ঃতানভির সানি।